সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৫০ অপরাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খান হত্যা মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বরখাস্তকৃত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত।
সোমবার কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারা’র খাসকামরায় এ জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
এর আগে সকাল ১০ টার দিকে নন্দদুলালকে আদালতে নিয়ে আসেন তদন্ত সংস্থা র্যাব। পরে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জবানবন্দি শেষে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে সিনহা হত্যা মামলায় মামলার প্রধান আসামি ইনেসপেক্টর লিয়াকত, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এপিবিএনের তিন সদস্য (এএসআই) শাহজাহান ও কনস্টেবল রাজীব কনস্টেবল মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এ নিয়ে সিনহা হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ৫ জন আসামি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এদিকে টেকনাফের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে চতুর্থ বারের মতো ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
সোমবার (৩১ আগস্ট) বেলা দুইটার দিকে র্যাবের একটি দল তাকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ-৩) আদালতে তোলেন।
এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল ইসলাম অধিকতর তথ্যের স্বার্থে আরো ১ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিচারক তামান্না ফারাহ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে প্রদীপকে র্যাব হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর এপিবিএন এর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো: রাশেদ খান।
এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে প্রদীপসহ পুলিশের নয়জনকে আসামি করা হয়। তবে এ মামলায় এ পর্যন্ত পুলিশের ৭ জন, এপিবিএনের ৩ জন ও স্থানীয় ৩ জন বাসিন্দা (পুলিশের মামলার সাক্ষী) গ্রেফতার করেছে তদন্ত সংস্থা র্যাব।
একই ঘটনায় পুলিশও পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে। যা তদন্তাধীন রয়েছে।
এসএস